দুটি ছেলের কথা বলছি। দুজনই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। মাত্র এক বছরের ব্যবধান তাঁদের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে। কাকতালীয়ভাবে তাঁদের বর্তমান অবস্থানটাও মিলে গেছে। দুজনই ভারতের ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মিশনারিজ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।বলছিলাম খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) দুই মেধাবী মুখ তাজুল ও তানভীরের কথা। লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তানভীর। ক্রিকেট মাঠে তাঁর দৌরাত্ম্য চোখে পড়ার মতোই। ঈর্ষান্বিত বন্ধুরা বলেই বসেন, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসছিস ক্যান? ক্রিকেটার হইতি!’ সেই ছেলেটার হাতে আজ বল বা ব্যাট কিছুই নেই, নেই সকাল আটটায় উঠে ক্লাসে যাওয়ার তাড়া কিংবা আড্ডার মাঝে বন্ধুদের মাতিয়ে রাখা। দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে আজ তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। অপারেশনের জন্য প্রয়োজন প্রায় ২৮ লাখ টাকা।আরেকজনের নাম তাজুল। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন তিনি। বিকেলে ফুটবল পায়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো বা আড্ডায় সবাইকে মাতিয়ে রাখা কিংবা প্রোগ্রামিংয়ের জগতে ভারী ভারী সব কোড মেলানো, সবকিছুতেই তঁার জুড়ি মেলা ভার। স্বপ্ন দেখতেন একদিন গুগলে চাকরি করবেন, প্রোগ্রামিংয়ের দুনিয়ায় উঁচিয়ে ধরবেন বাংলাদেশের ঝান্ডা। কিন্তু সব স্বপ্ন আজ স্থবিরতায় থমকে আছে। লিউকেমিয়া ধরা পড়েছে তাঁর। চিকিৎসকদের তথ্যমতে, কেমোথেরাপিতেই খরচ পড়তে পারে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টে গেলে অঙ্কটা আরও বড়ই হবে।
মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এ চিকিৎসার ভার বহন করা মোটেই চাট্টিখানি কথা নয়। তাই এগিয়ে এসেছেন তাঁর বন্ধু, বড় ভাই কিংবা ছোট ভাইয়েরা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে তাজুলের জন্য ‘Help Tajul to beat Leukemia’ আর তানভীরের জন্য ‘ফিরে আসুক তানভীর Come Back Tanver’ নামে খোলা হয়েছে দুটি আলাদা ইভেন্ট। চলছে প্রচার-প্রচারণা আর অর্থ সংগ্রহের কাজ। আপনার সহানুভূতির একটু সাহায্যই হয়তো বাঁচিয়ে তুলবে দুটি মেধাবী মুখ। ওঁদের ভাগ্য এখন আপনারই হাতে, মানবতার হাতে।
তাজুলকে সাহায্য করতে: ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, অ্যাকাউন্ট নাম: Office of the director (Students Welfare), KUET অ্যাকাউন্ট নম্বর: ১২০.১৫১.১৪৮৮৬২ (সঞ্চয়ী হিসাব) শাখা খুলনা, বাংলাদেশ। বিকাশ: ০১৯২৩০১৬৩৭২তানভীরকে সাহায্য করতে: ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, এ বি এম নাসিম, ১৩৫-১০৫-৪০২৮২। বিকাশ: ০১৭১৮৫৯৩৮৪০ (সিফাত)।